সকল রোগ থেকে মুক্তির দোয়া | মৃত্যু ছাড়া সর্বপ্রকার রোগ থেকে মুক্তি লাভের জন্য যে দোয়াসকল রোগ থেকে মুক্তির দোয়া

Estimated read time 1 min read

রোগমুক্তির দোয়া

  • সুস্থতা যেমন আল্লাহর নেয়ামত, তেমনি অসুস্থতার মাধ্যমে আমাদের পরীক্ষা করেন। …
  • وَ یَشۡفِ صُدُوۡرَ قَوۡمٍ مُّؤۡمِنِیۡنَ …
  • উচ্চারণ : ওয়া ইয়াশফি ছুদূর কাওমিমমুউমিনিন। …
  • وَ شِفَآءٌ لِّمَا فِی الصُّدُوۡرِ ۬ۙ وَ هُدًی وَّ رَحۡمَۃٌ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ
  • উচ্চারণ : ওয়া শিফা উল্লিমা ফিছছুদূর।

সুস্থতা যেমন আল্লাহর নেয়ামত, তেমনি অসুস্থতার মাধ্যমে আমাদের পরীক্ষা করেন। তাই সুস্থতা কিংবা অসুস্থতা সব পরিস্থিতিতেই আল্লাহর ওপর ভরসা করা এবং তার শুকরিয়া আদায় অত্যাবশ্যক।

তবে অসুস্থতায় পড়লে তা থেকে মুক্তির জন্য পবিত্র কোরআনে বেশ কিছু দোয়া রয়েছে।রোগ নিরাময়ের জন্য সেসব আয়াত অত্যন্ত ফলপ্রসূ। কোরআনের বিভিন্ন স্থানে এমন কিছু আয়াত রয়েছে, যেগুলোর ভেতরে শেফা শব্দটি রয়েছে। এ জন্য এসব আয়াতকে আয়াতে শেফা বলা হয়। সেসব আয়াত থেকে কয়েকটি কালবেলা অনলাইনের পাঠকের কাছে তুলে ধরা হলো।

وَ یَشۡفِ صُدُوۡرَ قَوۡمٍ مُّؤۡمِنِیۡنَ

উচ্চারণ : ওয়া ইয়াশফি ছুদূর কাওমিমমুউমিনিন। অর্থ : আল্লাহ, তুমি মুমিনদের অন্তরকে রোগমুক্ত করে দাও। (সুরা : আত তাওবা : ১৪)وَ شِفَآءٌ لِّمَا فِی الصُّدُوۡرِ ۬ۙ وَ هُدًی وَّ رَحۡمَۃٌ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَউচ্চারণ : ওয়া শিফা উল্লিমা ফিছছুদূর। ওয়া হুদাও ওয়া রহমাতুললিল মু’মিনিন। অর্থ : (কোরআন হচ্ছে) মুমিনদের জন্য অন্তরের রোগগুলোর প্রতিষেধক। (সুরা ইউনুস : ৫৭)وَ نُنَزِّلُ مِنَ الۡقُرۡاٰنِ مَا هُوَ شِفَآءٌ وَّ رَحۡمَۃٌ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَউচ্চারণ : ওয়া নুনাঝ্ঝিলু মিনাল কুরআন মা হুওয়া শিফা উওওয়া রহমাতুললিল মুউমিনিন।অর্থ : কোরআনে আমি এমন বিষয় নাজিল করেছি, যা ইমানদারদের জন্য রোগমুক্তি ও রহমত। (সুরা বনী ইসরাঈল : ৮২)وَاِذَا مَرِضۡتُ فَہُوَ یَشۡفِیۡنِউচ্চারণ : ওয়া ইজা মারিদ্বতু ফাহুয়া ইয়াশফিন।অর্থ : যখন আমি অসুস্থ হই, তখন আল্লাহই আমাকে আরোগ্য দান করেন। (সুরা শুআরা : ৮০)অসুস্থতাকে নিজের সঙ্গে যুক্ত করে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম বলেছেন, ‘আমি পীড়িত হই।’ কিন্তু আরোগ্য দানকে আল্লাহতায়ালার কাজরূপে উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনিই আমাকে আরোগ্য দান করেন।’এর দ্বারা এদিকেও ইশারা হতে পারে, রোগ-ব্যাধি মানুষের কোনো ত্রুটির কারণে হয়ে থাকে। আর শেফা সরাসরি আল্লাহর দান।

দোয়া কবুলের শর্ত

হালাল, বৈধ ও পবিত্র জীবিকার ওপর নির্ভর হতে হবে। হারাম উপার্জন (ফাঁকি, ধোঁকা, ওজনে কমবেশি, ভেজাল, খেয়ানত) ও হারাম খাদ্য থেকে বিরত থাকতে হবে। দুনিয়ায় সবকিছুই শুধু আল্লাহর কাছে চাওয়া এবং বেশি করে চাওয়া। সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় আল্লাহর কাছে দোয়া করা।আল্লাহর নাম ও ইসমে আজম দ্বারা দোয়া করা। সৎকাজের আদেশ করা এবং অন্যায় কাজের নিষেধ করা। দোয়ায় সর্বদা কল্যাণময় বিষয় কামনা করা। মনোযোগ সহকারে দোয়া করা। দোয়ার ফলাফলের জন্য ব্যস্ত না হওয়া। দোয়া কবুলের দৃঢ় আশা পোষণ করা।

জিকির ও দোয়াকেন্দ্রিক শিরক ও বিদআত

কবরে বা মাজারে কিংবা কোনো বিশেষ ব্যক্তিকে সিজদা করা সুস্পষ্ট শিরক এবং কাউকে সম্মানের উদ্দেশে কুর্নিশ করাও শিরকি গুনাহ। কদমবুছি করা বিদআত।কোনো আউলিয়া-বুজুর্গ কারও উপকার বা ক্ষতি করতে পারে বা আয়-বরকত বাড়িয়ে দিতে পারে বা বিপদ-আপদে রক্ষা করতে পারে বলে বিশ্বাস করা সুস্পষ্ট শিরক।

কোনো আউলিয়া কিংবা পীর-ফকির কোনো নিঃসন্তানকে সন্তান দান করতে পারে অথবা ছেলের স্থলে মেয়ে বা মেয়ের স্থলে ছেলে দিতে পারে বলে মনে করা বড় শিরক।

মনের নিয়ত পূর্ণ হওয়ার জন্য কোনো আউলিয়া-বুজুর্গের মাজারে জিয়ারত করতে যাওয়া বা মাজারে দোয়া করে কোনো কাজের শুরু করা, মানত‌ মানা বা মাজারে টাকা, গরু-ছাগল ইত্যাদি দান করাও শিরক।আজমির শরিফের উসিলায় মামলা-মোকদ্দমা জিতেছি, অমুকের উসিলায় পরীক্ষায় ভালো হয়েছে, খাজা সাহেবের উসিলায় প্রতিপত্তি লাভ হয়েছে, আবদুল কাদের জিলানীর উসিলায় এমন হয়েছে তেমন হয়েছে, এ জাতীয় উসিলার কথা বলাও শিরক।তাবিজ-তুমার এবং কবজ বাঁধাও শিরক। শিশু সন্তানকে মানুষের কুদৃষ্টি থেকে বা রোগব্যাধি থেকে বাঁচানোর জন্য গলায় বা হাতে তাবিজ বাঁধা, সাদা-লাল সুতা বাঁধা, অর্থাৎ এসব বস্তুর ওপর নির্ভরশীল আকিদা বিশ্বাসই শিরক।তবে সহিহ হাদিসের বর্ণিত কোরআনের আয়াত দিয়ে অথবা শিরক মুক্ত কোনো শব্দ বা বাক্যের মাধ্যমে আরোগ্য লাভের লক্ষ্যে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে সীমিত পর্যায়ে ঝাড়ফুঁক করা বৈধ। (বুখারি, মুসলিম)পীর সাজা ও পীর ধরা বা পীরের কাছে বায়াত হওয়া, পীরকে সন্তুষ্ট করতে পারলে আল্লাহ সন্তুষ্ট হবেন বলে মনে করা বিদআত।আত্মার পরিশুদ্ধের জন্য কোনো পীরের বানানো তাসবিহ ও তালিম পাঠ করাও বিদআত।

দোয়া একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। যে কোনো সময় যে কোনো দোয়া পড়া যায়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। এমনকি ছোট থেকে ছোট বিষয়েরও দোয়া শিখিয়েছেন।আর শুধু একটি দিবসে নয়, মা বাবার জন্য দোয়া করুন সবসময়।

সব রোগ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা দরকার। আর কোরআন যেহেতু আল্লাহর বাণী তাই আল্লাহর কোরআনের মাধ্যমেই শেফা বা রোগ মুক্তি কামনা করা প্রয়োজন। নিচের দোয়াগুলো রোগ মুক্তির জন্য অনেক উপকারী।  

 وَ یَشۡفِ صُدُوۡرَ قَوۡمٍ مُّؤۡمِنِیۡنَ উচ্চারণ : ওয়া ইয়াশফি ছুদূর কাওমিমমুউমিনিন। অর্থ : আল্লাহ, তুমি মুমিনদের অন্তরকে রোগমুক্ত করে দাও। (সুরা : আত তাওবা : ১৪)
 
وَ شِفَآءٌ لِّمَا فِی الصُّدُوۡرِ ۬ۙ وَ هُدًی وَّ رَحۡمَۃٌ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ উচ্চারণ: ওয়া শিফা উল্লিমা ফিছছুদূর। ওয়া হুদাও ওয়া রহমাতুললিল মু’মিনিন। অর্থ : (কোরআন হচ্ছে) মুমিনদের জন্য অন্তরের রোগগুলোর প্রতিষেধক। (সুরা ইউনুস : ৫৭)
 
وَ نُنَزِّلُ مِنَ الۡقُرۡاٰنِ مَا هُوَ شِفَآءٌ وَّ رَحۡمَۃٌ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ উচ্চারণ: ওয়া নুনাঝ্ঝিলু মিনাল কুরআন মা হুওয়া শিফা উওওয়া রহমাতুললিল মুউমিনিন
অর্থ : কোরআনে আমি এমন বিষয় নাজিল করেছি, যা ইমানদারদের জন্য রোগমুক্তি ও রহমত। (সুরা বনী ইসরাঈল : ৮২)
 
وَاِذَا مَرِضۡتُ فَہُوَ یَشۡفِیۡنِ উচ্চারণ : ওয়া ইজা মারিদ্বতু ফাহুয়া ইয়াশফিন।
 
অর্থ : যখন আমি অসুস্থ হই, তখন আল্লাহই আমাকে আরোগ্য দান করেন। (সুরা শুআরা : ৮০)


 
অসুস্থতাকে নিজের সঙ্গে যুক্ত করে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম বলেছেন, ‘আমি পীড়িত হই। ’ কিন্তু আরোগ্য দানকে আল্লাহতায়ালার কাজরূপে উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনিই আমাকে আরোগ্য দান করেন। ’

হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন,  তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না। (বুখারি ৬৩৪০)

হাদিসে এসেছে, হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,  আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন। অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল প্রতিহত করেন। যতক্ষণ না সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে। (তিরমিজি)

রসুল সা. বলেছেন, যদি কেউ চায় যে বিপদের সময় তার দোয়া কবুল হোক, তাহলে সে যেন সুখের দিনগুলোতে বেশি বেশি দোয়া করে। (তিরমিজি ৩৩৮২)

হযরত সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দোয়া ছাড়া আর কিছুই তাকদির পরিবর্তন করতে পারে না আর নেক আমল ছাড়া আর কিছুই বয়সে বৃদ্ধি ঘটায় না। (সহিহাহ ১৫৪, তিরমিজি ২১৩৯)

Chat On WhatsApp

Please Contact with us for more details.
Our Services

Phone : +8801566058831
WhatsApp :�wa.me/8801933307999
Skype : azadarch
Our Website : www.azadservice.com
Telegram for more information : https://t.me/Azadservice
Email US : [email protected]
Youtube :� https://www.youtube.com/@DropshippingService?sub_confirmation=1
Virtual Assistant : www.azadservice.com/category/virtual-assistant/
Facebook Groups : https://www.facebook.com/groups/854505676275341/
Facebook Page : https://www.facebook.com/independentservice.today
Linkdin :� https://www.linkedin.com/in/azadservice/
Instagram : https://www.instagram.com/azadservicebd/

Pinterest : https://www.pinterest.com/azadservice/

Twitter.: https://twitter.com/azadservicebd

Tiktok : https://www.tiktok.com/@azadservices

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours