ইসলামে সম্পদ উপার্জনের পন্থা | সম্পদ উপার্জন ও ব্যয়ের ইসলামী মূলনীতি

Estimated read time 1 min read

ইসলাম আদর্শ মানুষ গঠনের একটি আদর্শ প্রক্রিয়া। সূচনালগ্ন থেকেই মানুষের জৈবিক ও আর্থিক চাহিদা দেখা দেয়। এ উদ্দেশ্যেই ইসলাম সম্পদ উপার্জন ও ব্যয়ের বৈধ-অবৈধ পন্থা সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে, যাতে মানবজাতি চলার পথে কোনোভাবে বিভ্রান্ত না হয়। মুহাম্মদ (সা.)-এর সময়ে এসে ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং ইসলামে অর্থব্যবস্থা এভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছে যে কিয়ামত পর্যন্ত আর কোনো নতুন অর্থ ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে না।

শুধু যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে ইসলামের মৌলিক বিষয়াবলির সঠিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ তুলে ধরতে হবে।

মানুষের বহুবিদ চাহিদার ভেতর অর্থনৈতিক চাহিদা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ এবং তার অস্তিত্বের সঙ্গে একাত্ম, সেই হেতু যাতে সমাজের কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কোনোভাবেই অধিকতর সুবিধাভোগী হতে না পারে এবং অন্য একজন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বঞ্চিত হতে না পারে, সে জন্য ইসলামের অন্যান্য বিধানের মতো এ ক্ষেত্রেও ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থা প্রদান করেছে। ইসলাম অর্থ উপার্জন ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে এমন সুন্দর উপায় বলে দিয়েছে, যেখানে একজন মানুষ অতি স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে মধ্য পন্থা অবলম্বন করে বৈধভাবে সম্পদ আহরণ-অর্জন করতে পারবে।ইসলামের এই নীতিমালার লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে উল্লেখের দাবি রাখে যে ইসলামের অর্থব্যবস্থার ন্যায়ভিত্তিক বাস্তবায়নের সফলতা নিরঙ্কুশভাবে নির্ভর করে। সমাজে এর অন্য বিধিমালার সঠিক ও যথার্থ প্রয়োগের ওপর একটি ইসলামী সমাজব্যবস্থার ধারণা মোটামুটিভাবে নির্ভর করে কতগুলো মৌলিক নীতির ওপর। যেমন—১. সর্বশক্তিমান আল্লাহর সার্বভৌমত্ব২. ইতিহাসের কোরআনিক ধারণা৩. উৎপাদন উপকরণের ধারণা৪. সর্বজনীন ভ্রাতৃত্বের ধারণা৫. সহাবস্থানের স্থায়ী নীতিমালা।উল্লিখিত বিষয়গুলোর প্রতিটি ব্যাপক আলোচনার দাবি রাখলেও স্থানাভাবের কারণে এখানে তা সম্ভব নয়।তবে ওই বিষয়গুলোর সঙ্গে সবাই কমবেশি পরিচিত বলে আশা করি বুঝতে পাঠকদের অসুবিধা হবে না। এ ছাড়া এসব বিষয়ের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম আলোচনার অবতারণা না করেও বলা যায়, কোনো ব্যক্তি বা সমাজ ওই নীতিমালার আলোকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবন পরিচালনা না করে স্বেচ্ছাচারিতার কৌশল প্রয়োগ করে নিজেকে নিষ্কৃতির কোনো স্তরেই পৌঁছাতে পারবে না। কেননা সম্পদের চূড়ান্ত মালিকানা কেবলই মহান রাব্বুল আলামিন। পবিত্র কোরআনের ভাষ্য—‘আসমান ও জমিনের মধ্যে যা কিছু আছে, তার সার্বভৌমত্ব আল্লাহর। ’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ১৭)অতএব, দুনিয়ার যেখানে যে সম্পদ আছে তার স্রষ্টা যেমন আল্লাহ, তেমনি তার চূড়ান্ত মালিকও তিনি।তবে মানুষ আল্লাহর মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে নির্ধারিত নীতিমালার আলোকে সাময়িকভাবে সম্পদ ভোগ করতে পারবে মাত্র, পুরোপুরি মালিক হিসেবে নয়।এই আয়াতে এও বোঝা যায় যে ভূমি, পানি, বাতাস, আগুন ইত্যাদিসহ যেখানে যে সম্পদ আছে এগুলো বিনা মূল্যে আল্লাহ প্রদত্ত। মানুষ শুধু ইসলামী বিধানানুযায়ী প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের জন্য বিধিবদ্ধভাবে ভোগযোগ্য পণ্য ও সেবা উৎপাদন, আহরণ ও ভোগ করবে। আর তাতে অপচয় করা যাবে না।ইসলাম কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সমাজের বৃহত্তর স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কিংবা সমাজের ক্ষতিকর কাজে সম্পদ ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার সুযোগ রাখেনি। সম্পদ উৎপাদন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইসলাম যে নীতিমালা নির্ধারণ করে দিয়েছে তা নিম্নরূপ—১. সম্পদের পূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করা, যেন কারো কোনো স্বার্থ ক্ষুণ্ন না হয়২. জাকাত প্রদান করা৩. আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করা৪. সুদ ও সুদি লেনদেন বন্ধ করা৫. ব্যবসায়ে সব ধরনের এবং প্রকৃতির প্রতারণা পরিহার করা৬. অপ্রয়োজনীয় সম্পদের মজুদ গড়ে না তোলা৭. হারাম বস্তু উৎপাদন, বাজারজাত করণসহ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্মতৎপরতা থেকে বিরত থাকা৮. মুনাফাখোরি ব্যবসা বা লেনদেন থেকে বিরত থাকা৯. সমাজে বৈধ সম্পদের অব্যাহত সঞ্চালন নিশ্চিত করা, যাতে সহজেই ভোক্তার কাছে সম্পদ পৌঁছানো নিশ্চিত হয়।১০. এ ছাড়া ইসলাম সম্পদ বিকেন্দ্রীকরণের একটি বিশেষ পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে দিয়েছে। মৃত ব্যক্তির সম্পদ আত্মীয়দের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া। তবে তার কোনো আত্মীয় না থাকলে সে সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া।আমরা জানি, আমাদের সমাজসহ পৃথিবীর সব সমাজেই বৈধ-অবৈধ উপায়ে সম্পদ আহরণ ও ব্যয়ের প্রবণতা আছে। কিন্তু ইসলাম তার অনুসারীদের অবৈধ পন্থায় সম্পদ উৎপাদন, উপার্জন যেমন অনুমোদন দেয় না, তেমনি অবৈধ উপায়ে সম্পদ ভোগ-বণ্টনের অনুমতি দেয় না। ইসলাম উপার্জনের ক্ষেত্রে সামাজিক স্বার্থের পরিপ্রেক্ষিতেই বৈধতা ও অবৈধতার পার্থক্য সৃষ্টি করে দিয়েছে। এমনকি বৈধ উপায়ে যেসব ধন-সম্পদ উপার্জন করা হবে তা পুঞ্জীভূত করে রাখা যাবে না। কেননা এতে সম্পদের আবর্তন বন্ধ হয়ে যায় এবং ধন-সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বিনষ্ট হয়।সম্পদ সঞ্চয়কারী নিজেই মারাত্মক নৈতিক রোগে আক্রান্ত হয় তা নয়, বরং সে সমাজের বিরুদ্ধে সব ধরনের জঘন্যতম অপরাধ করে এবং অবস্থানও নেয়। এই নীতিমালার আলোকে ইসলাম দৈনন্দিন জীবনের জন্য যেসব বস্তু ও কাজ অবৈধ করে দিয়েছে, সেগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দিক উল্লেখ করছি—১. উৎকোচ আদান-প্রদান করা২. ব্যক্তি-সমষ্টি-নির্বিশেষে সবার সম্পদ আত্মসাৎ করা৩. চৌর্য কর্ম৪. এতিম-অসহায়দের সম্পদ আত্মসাৎ৫. মদ উৎপাদন, মাদকদ্রব্য এবং এসংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ড৬. জুয়া এবং এমন সব উপায়-উপকরণ, যেগুলোর মাধ্যমে নিছক ঘটনাচক্রে ও ভাগ্যক্রমে একদল লোকের সম্পদ অন্যদলের কাছে স্থানান্তর৭. ভাগ্য গণনা ও জ্যোতিষীর ব্যবসা৮. মূর্তি গড়া, মূর্তি বিক্রয়, মূর্তির উপাসনা এবং এতদসংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ড ইত্যাদি।ইসলামী অর্থনীতি বিষয়ে যেসব এখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে তার উদ্দেশ্য ছোট্ট পরিসরে উল্লেখ করছি—১. ইহলৌকিক ও পারলৌকিক মঙ্গলের জন্য আদল প্রতিষ্ঠা করা২. অর্থনৈতিক বিষয়ে দয়া প্রতিষ্ঠা করা৩. সমাজে কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করা৪. সমাজ থেকে অশোভনীয় কার্যাবলি দূরীভূত করা৫. অযাচিত বোঝা ও শৃঙ্খল থেকে মানুষকে মুক্ত করা৬. হালাল উপায়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা৭. সম্পদের সর্বাধিক বিতরণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করা৮. সর্বজনীন শিক্ষা নিশ্চিত করা৯. সমাজে সহযোগিতার প্রবণতা উৎসাহিত করা১০. সমাজের দুর্বল শ্রেণিকে জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভে আনুকূল্য প্রদান করা ইত্যাদি।আসুন, আমরা সবাই ব্যক্তিগত ও সামষ্টিকভাবে ইসলামী জীবনাদর্শ রূপায়ণে তৎপর হই।

ইসলামে যেসব উপায়ে সম্পদের মালিক হওয়া বৈধ

ইসলামের দৃষ্টিতে পৃথিবীর যাবতীয় সম্পদের চূড়ান্ত মালিক মহান আল্লাহ। তবে মানুষ আনুগত্য ও বিধান মানার শর্তে সম্পদের মালিক হতে পারে।মানুষের পারস্পরিক লেনদেনে এই ব্যক্তিগত মালিকানা নিরঙ্কুশ। প্রতিটি মানুষের উপার্জন কেবল তার।

অন্যায়ভাবে কেউ তা কেড়ে নেওয়ার অধিকার রাখে না। ইরশাদ হয়েছে, ‘পুরুষ যা অর্জন করে তা তার প্রাপ্য অংশ এবং নারী যা অর্জন করে তা তার প্রাপ্য অংশ। আল্লাহর কাছে তাঁর অনুগ্রহ প্রার্থনা করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৩২)

মালিকানা লাভের বৈধ উপায়
শরিয়ত সম্পদের মালিকানা লাভের কিছু বৈধ উপায় ঘোষণা করেছে।
নিম্নে তা তুলে ধরা হলো।

১. বেচাকেনা : ক্রয়-বিক্রয় সম্পদের মালিকানা লাভের একটি বৈধ উপায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন। ’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৭৫)
২. শ্রম বিনিময় : মানুষ তার নিজের শ্রমের বিনিময়ে যে অর্থ-সম্পদ অর্জন করে তা বৈধ।
নবীজি  (সা.) বলেন, নিজ হাতে উপার্জিত খাদ্যের চেয়ে উত্তম খাদ্য কখনো কেউ খায় না। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০৭২)
৩. চাষাবাদ : চাষাবাদ অর্থ-সম্পদ অর্জনের একটি বৈধ মাধ্যম। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের জন্য ভূমিকে সুগম করে দিয়েছেন; অতএব তোমরা তাঁর দিগদিগন্তে বিচরণ করো এবং তাঁর প্রদত্ত জীবনোপকরণ থেকে আহার গ্রহণ করো। পুনরুত্থান তো তাঁর কাছেই। ’ (সুরা : মুলক, আয়াত : ১৫)
৪. অনাবাদি ভূমি আবাদ করা : অনাবাদি ভূমি আবাদ করলে ব্যক্তি তার বৈধ মালিকানা লাভ করবে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, কেউ কোনো পতিত জমি আবাদ করলে সেটা তারই। অন্যায়ভাবে দখলকারীর পরিশ্রমের কোনো মূল্য নেই। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৩০৭৩)
৫. শিল্প : ব্যক্তিগত ও পেশাগত শিল্পের মাধ্যমে যে সম্পদ অর্জন করে তা বৈধ। হাদিসে পূর্ববর্তী নবী-রাসুলদের পেশা বর্ণনা করে মুমিনদের শিল্পমুখী হতে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। হাদিসের বর্ণনা অনুসারে আদম ও শিস (আ.) কৃষক, ইদরিস (আ.) কাপড় সেলাইকারী, নুহ (আ.) কাঠমিস্ত্রি, হুদ (আ.) ব্যবসায়ী ও পশু পালনকারী ছিলেন।
৬. প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ : বন ও পাহাড় থেকে (রাষ্ট্রীয় বিধি অনুসারে) কাঠসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ এবং তা করা বৈধ। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, তোমাদের কারো পক্ষে এক বোঝা লাকড়ি সংগ্রহ করে পিঠে বহন করে নেওয়া কারো নিকট চাওয়ার চেয়ে উত্তম। কেউ দিতেও পারে, নাও দিতে পারে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০৭৪)
৭. খনিজ সম্পদ আহরণ : ইসলামী আইন অনুসারে কোনো ব্যক্তি ভূপৃষ্ঠের অথবা ভূগর্ভের কোনো খনিজ সম্পদ আহরণ করলে তাতে তার আংশিক মালিকানা প্রমাণিত হয়। এই মালিকানা সম্পূর্ণ বৈধ। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু)
৮. শিকার : পশু, পাখি ও মাছ শিকার ইসলামে বৈধ। কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা অনুসরণ করে শিকার করলে এবং এর বিনিময়ে সম্পদ লাভ করলে তা শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার ও তা ভক্ষণ হালাল করা হয়েছে। তোমাদের ও পর্যটকদের ভোগের জন্য। ’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৯৬)
৯. রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ : কোনো ব্যক্তির অবদান ও অবস্থা বিবেচনা করে রাষ্ট্র যদি কোনো সম্পদ বরাদ্দ দেয়, তবে তা গ্রহণ করা বৈধ। একইভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি তাদের বৈধ উপার্জন থেকে কোনো গুণীজনের জন্য অর্থ-সম্পদ বরাদ্দ দেয়, তবে তা গ্রহণ করাও বৈধ। যেমন আল্লাহর রাসুল (সা.) জুবায়ের (রা.)-কে বনু নাজির গোত্রের সম্পত্তি থেকে এক টুকরা ভূমি দিয়েছিলেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩১৫১)
১০. পুরস্কার : কোনো বিশেষ কাজ উদ্ধারের জন্য যদি পুরস্কার ঘোষণা করা হয় এবং কোনো ব্যক্তি তা সম্পন্ন করে, তবে তা ঘোষিত পুরস্কার গ্রহণ করা বৈধ। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা বলল, আমরা রাজার পানপাত্র হারিয়েছি, যে তা এনে দেবে সে এক উট বোঝাই মাল পাবে এবং আমি তার জামিন। ’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৭২)
১১. দান ও উপহার : দান বা উপহার হিসেবে কোনো অর্থ-সম্পদ লাভ করলে তা ভোগ করা বৈধ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা পরস্পরকে উপহার দাও, কেননা তা আন্তরিকতা বৃদ্ধি করে। (শরহুস সুন্নাহ, হাদিস : ১০৮)
১২. অসিয়ত : ব্যক্তির জন্য করে যাওয়া অসিয়তের সম্পদ তার জন্য সম্পূর্ণ বৈধ। আল্লাহ বলেন, ‘এর সবই (ওয়ারিশদের অংশ লাভ) যে যা অসিয়ত করে তা দেওয়া এবং ঋণ পরিশোধের পর। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১১)
১৩. উত্তরাধিকার : সম্পদের মালিকানা লাভের একটি বৈধ উপায় হলো উত্তরাধিকার। শরিয়তের নির্ধারিত শর্ত পূরণ করলে ব্যক্তি উত্তরাধিকার সম্পদ ভোগের অধিকার লাভ করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘বাবা-মা এবং আত্মীয়-স্বজনের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে পুরুষের অংশ আছে এবং বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে নারীরও অংশ আছে। এটা অল্প হোক বা বেশি হোক, এক নির্ধারিত অংশ। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৭)
১৪. মোহর : নারী মোহর হিসেবে যে সম্পদ ও অর্থ লাভ করে তা তার বৈধ সম্পদ। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা নারীদের তাদের মোহর স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রদান করো; খুশি মনে তারা মোহরের কিছু অংশ ছেড়ে দিলে তোমরা তা স্বচ্ছন্দে ভোগ করবে। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৪)


১৫. জাকাত ও ফিতরা : দরিদ্র মানুষের জন্য জাকাত ও ফিতরা একটি বৈধ উপার্জন। আল্লাহ বলেন, ‘তাদের সম্পদ থেকে সদকা গ্রহণ করবে। এর দ্বারা তুমি তাদের পবিত্র করবে এবং পরিশোধিত করবে। ’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ১০৩)
১৬. ভরণ-পোষণ : স্ত্রী-সন্তানের ভরণ-পোষণ হিসেবে স্বামী যে অর্থ প্রদান করে তা স্ত্রী-সন্তানের জন্য বৈধ। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘জনকের দায়িত্ব যথাবিধি তাদের ভরণ-পোষণ করা। কাউকে তার সাধ্যাতীত কার্যভার দেওয়া হয় না। ’ সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৩৩)
আল্লাহ সবাইকে বৈধভাবে উপার্জন করার তাওফিক দিন। আমিন।

লেখক: আলেমা হাবিবা আক্তার

Chat On WhatsApp

Please Contact with us for more details.
Our Services

Phone : +8801566058831
WhatsApp :�wa.me/8801933307999
Skype : azadarch
Our Website : www.azadservice.com
Telegram for more information : https://t.me/Azadservice
Email US : [email protected]
Youtube :� https://www.youtube.com/@DropshippingService?sub_confirmation=1
Virtual Assistant : www.azadservice.com/category/virtual-assistant/
Facebook Groups : https://www.facebook.com/groups/854505676275341/
Facebook Page : https://www.facebook.com/independentservice.today
Linkdin :� https://www.linkedin.com/in/azadservice/
Instagram : https://www.instagram.com/azadservicebd/

Pinterest : https://www.pinterest.com/azadservice/

Twitter.: https://twitter.com/azadservicebd

Tiktok : https://www.tiktok.com/@azadservices

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours