কেটে ফেলা চুলের বিষয়ে ইসলাম কী বলে | মহানবী (সাঃ) যেভাবে চুল কাটতে নিষেধ করেছেন

Estimated read time 1 min read

কেটে ফেলা চুলের বিষয়ে ইসলাম কী বলে

চুল মহান আল্লাহর এক বিশেষ নিয়ামত। মানুষের উচিত মহান আল্লাহর এই অমূল্য নিয়ামতের যথাযথ সম্মান করা। কারণ মহান আল্লাহ মানুষকে সম্মানিত করে সৃষ্টি করেছেন, তাদের অঙ্গগুলোও সম্মানিত। তাই মানব অঙ্গের সঙ্গেও এমন ব্যবহার করা যাবে না, যা তাদের সম্মান হানি করে।পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘আর আমি মানব সন্তানকে সম্মানিত করেছি…। ’
(সুরা : ইসরা, আয়াত : ৭০)

স্বাভাবিকভাবেই মানুষের চুল পড়ে যায়, অনেক ক্ষেত্রে কাটাতে হয়। এই পড়ে যাওয়া বা কেটে ফেলা চুলগুলো যত্রতত্র ফেলে দেওয়া উচিত নয়। এতে মহামূল্যবান এই অঙ্গটির অপব্যবহারও হতে পারে।

কিংবা এর মাধ্যমে রোগ-জীবাণুও ছড়াতে পারে। যেমন কোনো ব্যক্তি যদি তার কেটে ফেলা চুল সঠিকভাবে দাফন না করে, তাহলে তা বাতাসে উড়ে খাবারে বা পানিতে মিশে যেতে পারে। ফলে তার সঙ্গে লেগে থাকা জীবাণু পেটে গিয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।

মানুষের চুল ব্যবহার করে তাকে বিপদে ফেলার মতো অনেক রাস্তাও এই বিজ্ঞানের যুগে খোলা রয়েছে।

তাই আমাদের উচিত কেটে ফেলা বা ঝরে যাওয়া চুলগুলোর যথাযথ সংরক্ষণ করা। বর্তমানে অনেকে চুল সংরক্ষণ করে বিক্রি করার জন্য, শরিয়তের দৃষ্টিতে এই কাজটিও হারাম। ইসলাম এই কাজটি সমর্থন করে না। এর যথাযথ সংরক্ষণ ব্যবস্থা কী হবে, তা পবিত্র কোরআনেই নির্দেশনা দেওয়া আছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি কি পৃথিবী সৃষ্টি করিনি ধারণকারিণীরূপে, জীবিত ও মৃতদের?’ (সুরা : মুরসালাত, আয়াত : ২৫-২৬)

তাফসিরে কুরতবিতে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে এই আয়াতের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা এবং মানুষের চুল ও পড়ে যাওয়া অঙ্গ দাফন করার বিধান প্রমাণিত হয়।

অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই মাটি থেকেই আমি তোমাদের সৃজন করেছি, এতেই তোমাদের ফিরিয়ে দেব, এবং পুনরায় এ থেকেই আমি তোমাদের উত্থিত করব। ’ (সুরা : ত্বহা, আয়াত : ৫৫)

তাই যেভাবে মানুষের গোটা দেহের হায়াত শেষ হয়ে যাওয়ার পর মাটিতে সমর্পিত করতে হয়, তেমনি তার কোনো অঙ্গের হায়াত শেষ হয়ে যাওয়ার পর তা মাটিতে দাফন করতে হয়।

ইমাম আহমদ (রহ.)-কে এক ব্যক্তি কর্তিত চুল ও নখের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘এগুলো কি দাফন করব, নাকি ফেলে দেব?’ তিনি বলেন, ‘দাফন করে ফেলো। ’ লোকটি বলল, ‘আপনি এ ব্যাপারে কিছু পেয়েছেন?’ তিনি বলেন, ‘ইবনে ওমর (রা.) এগুলো দাফন করে ফেলতেন। ’ (আল মুগনি, ইবনে কুদামা : ১/১১০)

মহান আল্লাহ আমাদের বিষয়টি উপলব্ধি করে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

মহানবী (সাঃ) যেভাবে চুল কাটতে নিষেধ করেছেন

বর্তমান প্রজন্ম অত্যন্ত ফ্যাশনপ্রিয়। নিজ নিজ বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী প্রত্যেকেরই ফ্যাশন সচেতনতার ধরন ভিন্ন। তারই ধারাবাহিকতায় এখনকার যুগের ছেলেরাও চুলের যত্নে বেশ সচেতন। যদিও এ ব্যাপারে ইসলামের কোনো নির্দেশনা আছে কি না, সে ব্যাপারে তারা অচেতনই রয়ে গেছে।নিজেদের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে তারা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে নতুন নতুন হেয়ার স্টাইলের দিকে। এ ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব পায় বিভিন্ন সেলিব্রেটিদের হেয়ার স্টাইলগুলোই। অথচ রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের অনুকরণ করবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪০৩১)

বর্তমানে আমাদের দেশে যে হেয়ার স্টাইলগুলো জনপ্রিয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, শর্ট কাট বা আন্ডার কাট, ক্লাসিক কাট, ফেড কাট, ক্রু কাট, বাজ কাট, লেয়ার স্পাইক, ইমো সুইপ ইত্যাদি।যেগুলোর কোনোটিকেই ইসলাম সমর্থিত কাট বলা যায় না। কারণ প্রতিটি স্টাইলেই মাথার কিছু অংশে বড় চুল ও কিছু অংশে ছোট চুল রাখা হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছু অংশ ছেঁটে ফেলা হয়। রাসুল (সাঃ) এভাবে চুল কাটতে নিষেধ করেছেন। 

হজরত ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সাঃ)-কে ‘কাজা’ থেকে নিষেধ করতে শুনেছি। (বর্ণনাকারী ওবায়দুল্লাহ বলেন) আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘কাজা’ কী? তখন আবদুল্লাহ (রাঃ) আমাদের ইঙ্গিতে দেখিয়ে বললেন, শিশুদের যখন চুল কামানো হয়, তখন এখানে-ওখানে চুল রেখে দেয়। এ কথা বলার সময় ওবায়দুল্লাহ তাঁর কপাল ও মাথার দুই পাশে দেখালেন। ওবায়দুল্লাহকে আবার জিজ্ঞেস করা হলো, বালক ও বালিকার জন্য কি একই নির্দেশ? তিনি বলেন, আমি জানি না। এভাবে তিনি বালকের কথা বলেছেন।ওবায়দুল্লাহ বলেন, আমি এ কথা আবার জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, পুরুষ শিশুর মাথার সামনের ও পেছনের দিকের চুল কামানো দোষণীয় নয়। আর (অন্য এক ব্যাখ্যা মতে) ‘কাজা’ বলা হয়—কপালের ওপরে কিছু চুল রেখে বাকি মাথার কোথাও চুল না রাখা। তেমনিভাবে মাথার চুল এক পাশ থেকে অথবা অন্য পাশ থেকে কাটা। (বুখারি, হাদিস : ৫৯২১)

পুরুষের চুল রাখা ও কাটার ব্যাপারে ইসলামী শরিয়ত তিনটি পদ্ধতি নির্ধারণ করে দিয়েছে। এক. বাবরি চুল রাখা। বাবরি চুল রাখার তিনটি সুন্নত পদ্ধতি রয়েছে। ১. ওয়াফরা তথা কানের লতি পর্যন্ত চুল রাখা। (আবু দাউদ, ৪১৮৫)

২. লিম্মা তথা ঘাড় ও কানের লতির মাঝামাঝি পর্যন্ত চুল রাখা। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪১৮৭)

৩. জুম্মা তথা ঘাড় পর্যন্ত রাখা। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪১৮৩)

দুই. মুণ্ডিয়ে ফেলা। ইসলামের দৃষ্টিতে মাথা মুণ্ডিয়ে ফেলাও সুন্নত। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া : ৫/১৪৯, ফাতাওয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত : ১২/৪৩)

তিন. সব চুল সমান করে কাটা। যাদের হেয়ার স্টাইলের শর্ট কাট বা আন্ডার কাট, তারা একটু সচেতনভাবে কাটলেই গুনাহ থেকে বেঁচে যেতে পারেন। আর নিয়ত থাকতে হবে ইসলামের প্রতি সম্মান। কোনো অমুসলিম সেলিব্রেটির অনুসরণ নয়। কারণ প্রতিটি কাজই নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। কেউ যদি সুন্নত তরিকায় মাথা মুণ্ডায় কিন্তু তার নিয়ত থাকে হলিউড অভিনেতা ভিন ডিজেলের অনুকরণ, তবে সে সুন্নতের সওয়াব পাবে না। তাই যেকোনো কাজ করার ক্ষেত্রে ইসলাম সমর্থিত পদ্ধতিতে শুদ্ধ নিয়তে করতে হবে।

Chat On WhatsApp

Please Contact with us for more details.
Our Services

Phone : +8801566058831
WhatsApp :�wa.me/8801933307999
Skype : azadarch
Our Website : www.azadservice.com
Telegram for more information : https://t.me/Azadservice
Email US : [email protected]
Youtube :� https://www.youtube.com/@DropshippingService?sub_confirmation=1
Virtual Assistant : www.azadservice.com/category/virtual-assistant/
Facebook Groups : https://www.facebook.com/groups/854505676275341/
Facebook Page : https://www.facebook.com/independentservice.today
Linkdin :� https://www.linkedin.com/in/azadservice/
Instagram : https://www.instagram.com/azadservicebd/

Pinterest : https://www.pinterest.com/azadservice/

Twitter.: https://twitter.com/azadservicebd

Tiktok : https://www.tiktok.com/@azadservices

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours