মুমিনের মনোবল যেভাবে বৃদ্ধি পায় | বিপদ-আপদে মুমিন যেভাবে মনোবল শক্ত রাখবে

Estimated read time 1 min read

মুমিনের মনোবল যেভাবে বৃদ্ধি পায়

সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য মনোবল ধরে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনোবল ভেঙে গেলে মানুষ ক্রমেই পিছিয়ে পড়তে থাকে, সাফল্য তার কাছে হয়ে যায় সোনার হরিণ। ইসলাম মানুষকে মনোবল ধরে রাখার শিক্ষা দিয়েছে। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে মনোবল ধরে রাখার জাদুকরী নির্দেশনা।তা হলো মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রাখা, তাঁর আশ্রয় গ্রহণ করা, সাহায্য প্রার্থনা করা ইত্যাদি। নিচে তা তুলে ধরা হলো :

১. মুমিনের প্রচেষ্টা নিষ্ফল নয় : ইসলাম মানুষকে সর্বাবস্থায় নিজের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেয়। কেননা মুমিনের বৈধ প্রচেষ্টা কখনো নিষ্ফল হয় না। মহান আল্লাহর অঙ্গীকার হলো, ‘তুমি ধৈর্য ধারণ কোরো, কারণ নিশ্চয়ই আল্লাহ সত্কর্মপরায়ণদের শ্রমফল নষ্ট করেন না। ’ (সুরা : হুদ, আয়াত : ১১৫)

২. প্রচেষ্টায় খোলে পথ : মুমিন যখন আল্লাহর ওপর নির্ভর করে নিজের সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করতে থাকে, আল্লাহ অসম্ভব বিষয়ের দরজাও খুলে দেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা আমার উদ্দেশ্যে চেষ্টা-সংগ্রাম করে আমি তাদের অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করব। আল্লাহ অবশ্যই সত্কর্মপরায়ণদের সঙ্গে থাকেন। ’ (সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৬৯)

৩. ধৈর্যই মনোবল, মনোবলে মুক্তি : কোরআনের একাধিক স্থানে মানুষকে ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ধৈর্যই মনোবল। কেননা প্রতিকূল পরিস্থিতি সহ্য করা, হতাশ না হওয়া এবং আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার নাম ধৈর্য। মনোবল একই অর্থে ব্যবহৃত হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তোমাদের কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা অবশ্যই পরীক্ষা করব। তুমি শুভ সংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের; যারা তাদের ওপর বিপদ আপতিত হলে বলে, আমরা আল্লাহরই এবং নিশ্চিতভাবে তার দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী।

এরাই তারা যাদের প্রতি তাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে বিশেষ অনুগ্রহ ও রহমত বর্ষিত হয়, আর তারাই সৎপথে পরিচালিত। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৫৫-১৫৭)

৪. বর্তমানে সন্তুষ্টদের জন্য সুদিনের বার্তা : মহান আল্লাহই মানুষের জন্য সবচেয়ে কল্যাণকামী এবং তিনিই সুদিন ও দুর্দিনের স্রষ্টা। তাই মুমিন দুর্দিনেও আল্লাহর প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে না, বরং আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করে। আল্লাহ বলেন, ‘স্মরণ কোরো, তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদের অবশ্যই অধিক দেব আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর। ’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৭)

৫. আমার প্রভু সর্বশক্তিময় আল্লাহ : মুমিন সুদিন ও দুর্দিন সব সময় নিজের মেধা, যোগ্যতা ও ক্ষমতার ওপর নির্ভর না করে আল্লাহর ওপর নির্ভর করে। আর আল্লাহ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করলে তোমাদের ওপর জয়ী হওয়ার কেউই থাকবে না। আর তিনি তোমাদের সাহায্য না করলে, তিনি ছাড়া কে এমন আছে, যে তোমাদের সাহায্য করবে? মুমিনরা আল্লাহর ওপরই নির্ভর করুক। ’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৬০)

৬. আমি অক্ষম, আল্লাহ নন : দুর্দিনে মানুষ কখনো কখনো নিজেকে অক্ষম মনে করে, তবে তার মনে রাখা উচিত মহান প্রতিপালক আল্লাহ অক্ষম নন। তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। এ জন্য মুমিন কখনো হতাশ হয় না। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে আমার ছেলেরা! তোমরা যাও, ইউসুফ ও তার সহোদরের অনুসন্ধান করো এবং আল্লাহর আশিস থেকে তোমরা নিরাশ হয়ো না। কেননা আল্লাহর আশিস থেকে অবিশ্বাসী সম্প্রদায় ছাড়া কেউ নিরাশ হয় না। ’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৮৭)

৭. পাপের ভারে ভাঙে মনের শক্তি : পার্থিব জীবনে যে বিপদ-আপদ ব্যক্তিকে স্পর্শ করে তার জন্য ব্যক্তির ভুলভ্রান্তি ও পাপ-পঙ্কিলতাও দায়ী। এ ছাড়া পাপ মানুষের মানসিক শক্তি ও মনোবল ভেঙে দেয়। এ জন্য মুমিন বিপদগ্রস্ত হলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং নিজেকে সংশোধন করে নেয়। পাপের পঙ্কিলতা দূর হলে ব্যক্তির মনোবলও ফিরে আসে এবং আল্লাহর অনুগ্রহে সে বিপদ মুক্ত হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ এমন নন যে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করবে অথচ তিনি তাদের শাস্তি দেবেন। ’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৩৩)

৮. আল্লাহর স্মরণে ফেরে মনোবল : মনোবল ভেঙে গেলে মানসিক যে অস্থিরতা তৈরি হয় তা আল্লাহর জিকির ও স্মরণের মাধ্যমে দূর হয়। ফলে জিকির করলে মানুষের মানসিক প্রশান্তি ও মনোবল ফিরে আসে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের চিত্ত প্রশান্ত হয়; জেনে রেখো, আল্লাহর স্মরণেই চিত্ত প্রশান্ত হয়। ’ (সুরা : রাআদ, আয়াত : ২৮)

অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি জানি, তারা যা বলে তাতে তোমার অন্তর সংকুচিত হয়; সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কোরো। আর তুমি সিজদাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হও। ’ (সুরা : হিজর, আয়াত : ৯৭-৯৮)

৯. উত্তম পথেই আসে সুদিন : আপনার পথ যদি ভুল হয়, তবে আপনি হোঁচট খাবেন এবং দিন দিন আপনার মনোবল ভাঙতে থাকবে। তাই হোঁচট খেলে আরো নির্মল পথ বেছে নিন। দেখবেন আপনি এগিয়ে যাওয়ার সাহস খুঁজে পাচ্ছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য—কে তোমাদের মধ্যে কাজে উত্তম? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল। ’ (সুরা : মুলক, আয়াত : ২)

১০. সুদিন আপনার দোরগোড়ায় : আল্লাহ তাঁর কোনো বান্দাকে অবিরাম কষ্টে নিপতিত করে রাখেন না। দুর্দিন দিয়ে পরীক্ষা করার পরই সুদিন দান করেন। তাই আপনি যদি বিপদগ্রস্ত হন, তবে বিশ্বাস করুন, সুদিন আপনার দোরগোড়ায় অপেক্ষা করছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘কষ্টের সঙ্গেই আছে স্বস্তি, অবশ্যই কষ্টের সঙ্গেই স্বস্তি আছে। ’ (সুরা : ইনশিরাহ, আয়াত : ৫-৬)

আল্লাহ সবাইকে মনোবল ধরে রাখার তাওফিক দিন। আমিন।

বিপদ-আপদে মুমিন যেভাবে মনোবল শক্ত রাখবে

সুদিনের আশা বা আশাবাদ আল্লাহর অনুগ্রহ। আল্লাহ এর মাধ্যমে পৃথিবীতে বিপদগ্রস্ত মানুষকে প্রশান্তি দান করেন, মানসিক স্বস্তি ও শান্তি দান করেন। ইসলাম নানাভাবে মুমিনের মনোবল ধরে রাখার অনুপ্রেরণা দিয়েছে। যেমন বিপদগ্রস্ত মানুষের উদ্দেশে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মুসলিম ব্যক্তির ওপর যে কষ্ট-ক্লেশ, রোগব্যাধি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা, কষ্ট ও পেরেশানি আসে, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে ফোটে, এসবের মাধ্যমে আল্লাহ তার গুনহগুলো ক্ষমা করে দেন।(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৬৪১)

মুমিনের চোখে বিপদ-আপদ

মুমিনের জীবনে বিপদ-আপদ ও দুঃখ-কষ্ট আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা হিসেবেই আসে। তাই সে ধৈর্যের সঙ্গে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার চেষ্টা করে। আর বিনিময়ে আল্লাহর কাছে উত্তম প্রতিদান আশা করে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব সামান্য ভয় ও ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফসলের কিছুটা ক্ষতি দিয়ে; আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও—যাদের ওপর কোনো মুসিবত এলে বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর আর অবশ্যই আমরা তাঁর কাছেই ফিরে যাব।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৫৫-১৫৬)

সুদিন আসতে পারে হতাশার পরও

পার্থিব উপায়-উপকরণ যখন শেষ হয়ে যায় এবং বাহ্যিক কোনো আশা থাকে না, তখনো সুদিনের সূচনা হতে পারে। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত ইবরাহিম (আ.)-এর ঘটনা এমনটিই শিক্ষা দেয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা বলল, ভয় কোরো না, আমরা তোমাকে এক জ্ঞানী পুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি। সে বলল, তোমরা কি আমাকে সুসংবাদ দিচ্ছ আমি বার্ধক্যে উপনীত হওয়া সত্ত্বেও? তোমরা কী বিষয়ে সুসংবাদ দিচ্ছ? তারা বলল, আমরা সত্য সংবাদ দিচ্ছি, সুতরাং তুমি হতাশ হয়ো না।সে বলল, যারা পথভ্রষ্ট তারা ছাড়া আর কে তার প্রতিপালকের অনুগ্রহ থেকে হতাশ হয়?’ (সুরা : হিজর, আয়াত : ৫৩-৫৬)

নিরাশা পাপ

আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়ে যাওয়া পাপ। কেননা বিখ্যাত সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেছেন, সবচেয়ে বড় কবিরা গুনাহ হচ্ছে আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা, আল্লাহর পাকড়াও থেকে নিশ্চিন্ত হয়ে যাওয়া আর আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ১৯৭০১)

এ ছাড়া তা আল্লাহর নির্দেশপরিপন্থী। কেননা তিনি বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চিয়ই জেনো, আল্লাহর রহমত থেকে তো অবিশ্বাসীরা ছাড়া অন্য কেউ নিরাশ হতে পারে না।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৮৭)

সুদিনের আশা ইবাদত

পবিত্র কোরআনের একাধিক স্থানে আল্লাহ তাঁর রহমত ও দয়া থেকে নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘বলো, হে আমার বান্দারা! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ, তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ ক্ষমা করে দেন। সন্দেহ নেই, তিনিই ক্ষমাশীল দয়ালু।’ (সুরা : ঝুমার, আয়াত : ৫৩)

উল্লিখিত আয়াত ও তার সমার্থক আয়াত ও হাদিসের আলোকে প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, সুদিনের আশা করা ইবাদত। কেননা আল্লাহ নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন। অর্থাৎ আল্লাহ সুদিনের আশা করতে বলেছেন। আল্লাহর যেকোনো নির্দেশ পালন করা ইবাদত।

আশা যেভাবে বেঁচে থাকে

নিম্নোক্ত কাজের মাধ্যমে মুমিন তাঁর আশা বাঁচিয়ে রাখতে পারে।

১. আল্লাহর প্রতি অটুট বিশ্বাস রাখা : মুমিন মহান আল্লাহর প্রতি নিজের বিশ্বাস অটুট রাখে যে আল্লাহ অবশ্যই আমাকে বিপদমুক্ত করবেন। আল্লাহ বলেন, ‘বরং তিনি, যিনি অসহায়ের আহ্বানে সাড়া দেন, যখন সে তাঁকে ডাকে এবং তিনি বিপদাপদ দূর করে দেন আর পৃথিবীতে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করেন। আল্লাহর সঙ্গে কি অন্য কোনো মাবুদ আছে? তোমরা খুব সামান্যই উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা : নামল, আয়াত : ৬২)

২. চেষ্টা অব্যাহত রাখা : মুমিন দুর্দিন কাটিয়ে তুলতে নিজের চেষ্টা অব্যাহত রাখে। কখনোই নিরাশ হয়ে চেষ্টা ছেড়ে দেয় না। যেমন দুই সন্তান হারানো বৃদ্ধ নবী ইয়াকুব (আ.) বলেছিলেন, ‘হে আমার ছেলেরা! তোমরা যাও, ইউসুফ ও তার ভাইয়ের সন্ধান করো। তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চিত জেনে রেখো, আল্লাহর রহমত থেকে তো অবিশ্বাসী ছাড়া অন্য কেউ নিরাশ হতে পারে না।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৮৭)

আয়াতে ইয়াকুব (আ.) দুই ভাইয়ের সন্ধানে তাদের চেষ্টা অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন।

৩. ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ করা : মুমিন সুদিন ও দুর্দিন উভয় অবস্থায় ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ করে। সে সুদিনে অহংকার না করে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হয় এবং দুর্দিনে হতাশ না হয়ে আল্লাহর অনুগ্রহ প্রত্যাশা করে। সে সেসব অবিশ্বাসীদের মতো করে না, যাদের সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি মানুষকে যখন কোনো নিয়ামত দিই, তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও পাশ কাটিয়ে যায়। আর যদি কোনো অনিষ্ট তাকে স্পর্শ করে তাহলে সে সম্পূর্ণ হতাশ হয়ে পড়ে!’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৮৩)

৪. সুদিনের অপেক্ষা করে : মুমিন দুর্দিনে সুদিনের আশা করার মাধ্যমে নিজের হতাশা দূর করে এবং আশা ধরে রাখে। কেননা আল্লাহই বলেছেন, ‘কষ্টের সঙ্গেই তো স্বস্তি আছে। অবশ্যই কষ্টের সঙ্গেই স্বস্তি আছে।’ (সুরা : আলাম নাশরাহ, আয়াত : ৫-৬)

৫. সুদিন বেশি দূরে নয় : জীবনের কঠিন সময়গুলো রাতের মতো। কিন্তু রাত দীর্ঘস্থায়ী নয়, বরং তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই গত হয়। পবিত্র কোরআনে লুত (আ.)-কে তাঁর অত্যাচারী ও পাপী সম্প্রদায় সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই প্রভাত তাদের জন্য নির্ধারিত কাল। প্রভাত কি নিকটবর্তী নয়?’ (সুরা : হুদ, আয়াত : ৮১)

ভালো মানুষেরও বিপদ হয় কেন

অনেকেই বলেন, ভালো মানুষের এত বিপদ হয় কেন? নিম্নোক্ত হাদিসে এর উত্তর রয়েছে, মুসআব ইবনে সাআদ (রহ.) তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি (সাআদ) বলেন, আমি প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহ‌র রাসুল! মানুষের মধ্যে কার বিপদের পরীক্ষা সবচেয়ে কঠিন হয়? তিনি বললেন, নবীদের বিপদের পরীক্ষা, তারপর যারা নেককার তাদের, এরপর যারা নেককার তাদের বিপদের পরীক্ষা। মানুষকে তার ধর্মানুরাগের অনুপাত অনুসারে পরীক্ষা করা হয়। তুলনামূলকভাবে যে লোক বেশি ধার্মিক তার পরীক্ষাও সে অনুপাতে কঠিন হয়ে থাকে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৩৯৮)

আল্লাহ সবাইকে হতাশা থেকে রক্ষা করুন। আমিন।

Chat On WhatsApp

Please Contact with us for more details.
Our Services

Phone : +8801566058831
WhatsApp :�wa.me/8801933307999
Skype : azadarch
Our Website : www.azadservice.com
Telegram for more information : https://t.me/Azadservice
Email US : [email protected]
Youtube :� https://www.youtube.com/@DropshippingService?sub_confirmation=1
Virtual Assistant : www.azadservice.com/category/virtual-assistant/
Facebook Groups : https://www.facebook.com/groups/854505676275341/
Facebook Page : https://www.facebook.com/independentservice.today
Linkdin :� https://www.linkedin.com/in/azadservice/
Instagram : https://www.instagram.com/azadservicebd/

Pinterest : https://www.pinterest.com/azadservice/

Twitter.: https://twitter.com/azadservicebd

Tiktok : https://www.tiktok.com/@azadservices

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours