অর্থ-সম্পদ আত্মসাতের ভয়াবহ পরিণতি | অন্যের সম্পদ আত্মসাৎকারী এক ব্যক্তির ভয়াবহ পরিণতি

Estimated read time 1 min read

অর্থ-সম্পদ আত্মসাতের ভয়াবহ পরিণতি

বিগত কয়েক বছরে অনলাইনে ইমো প্রতারণা বেড়েছে। গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ইমো হ্যাক করার মাধ্যমে প্রতারকরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এই অ্যাপটির ব্যবহারকারী বেশির ভাগ প্রবাসী হওয়ায় তাঁদের টার্গেট করা হচ্ছে বেশি। আজ আমরা আলোচনা করব ইসলামের দৃষ্টিতে ইমো হ্যাকিং ও হ্যাকারের ফাঁদে পা দেওয়া কতটুকু বৈধ সে বিষয়ে।

ইমো কী
ইমো হলো স্মার্টফোন ব্যবহার করে অডিও বা ভিডিও ফোনকল বা বার্তা লেনদেনের একটি অ্যাপ। ২০০৫ সালে তৈরি হওয়া এই অ্যাপের সারা বিশ্বে ৫০ কোটির বেশি গ্রাহক রয়েছে।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্য সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা মেসেঞ্জিং অ্যাপের তুলনায় ইমোতে কম ব্যান্ডউইডথ লাগে। সেই সঙ্গে এই অ্যাপটি একাধিক ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়। পাশাপাশি এটি ব্যবহার করাও খুব সহজ। তাই অনেকে এই অ্যাপ ব্যবহার করতে পছন্দ করেন।

যেভাবে ইমোর মাধ্যমে প্রতারণা করা হয়
অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, মোবাইলে ভিডিও কল ও মেসেঞ্জিং অ্যাপ ইমো বাংলাদেশের প্রবাসী  এবং তাঁদের স্বজনদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়। ফলে প্রবাসীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলতে প্রতারকরা এই অ্যাপটি বেছে নেয়।

প্রতারকরা সাধারণত মেয়ে সেজে নারীকণ্ঠে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। সুন্দর চেহারার ছবি দিয়ে কথিত নারীর আইডি থেকে মেসেজ দেওয়া হয় প্রবাসীদের। এরপর শুরু কথোপকথন ও ছবি আদান-প্রদান। সুন্দর ছবি ও মধুর কণ্ঠের অন্তরঙ্গ আলাপচারিতার ফলে সহজেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন প্রবাসীরা। পরে ভিডিও কলের প্রলোভনে কৌশলে প্রবাসীদের ইমো আইডি নেওয়া হয় নিয়ন্ত্রণে।

এরপর ইমো নম্বর পরিবর্তন করে অ্যাকাউন্টের প্রাইভেসি হিস্ট্রিতে গিয়ে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের নম্বর সংগ্রহ করে নানা বাহানায় হাতিয়ে নেওয়া হয় লাখ লাখ টাকা। অনেক ক্ষেত্রে আবার পরিচিতমহলের লোকদের হাতে মোবাইল ফোন গেলে তারা কৌশলে ইমোর ওটিপি হাতিয়ে নিয়ে ইমো আইডি অন্য মোবাইলে সচল করে। এরপর এই ফোনে যেসব তথ্য আদান-প্রদান করা হয়, সেগুলো প্রতারকের ফোনেও চলে যায়। সেখান থেকে স্পর্শকাতর ছবি-ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করা হয়।

প্রতারক যে কয়টি পাপে লিপ্ত হয়

এখানে একজন প্রতারক কয়েকটি পাপে লিপ্ত হয়—

১. অন্যের সঙ্গে প্রতারণা করা : প্রতারণা করে ওটিপি হাতিয়ে নেয়, যা হারাম। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যে প্রতারণা করে সে আমার দলভুক্ত নয়। (তিরমিজি, হাদিস : ১৩১৫)

২. অন্যের গোপন তথ্য হাতানোর চেষ্টা : এটা ইসলামের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, তোমরা বেশি অনুমান থেকে বেঁচে থাকো। কারণ কিছু কিছু অনুমান তো পাপ এবং তোমরা কারো গোপনীয় দোষ অনুসন্ধান কোরো না। ’ (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ১২)

৩. অন্যের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা : সাধারণত অন্যের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অংশ হিসেবেই এসব করা হয়। অথচ রাসুল (সা.) চক্রান্তকারীদের অভিশাপ দিয়েছেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, অভিশপ্ত সে, যে কোনো মুমিনের ক্ষতি করে অথবা তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে। (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৪০)

৪. অন্যের সম্ভ্রমহানি করা : অনেক সময় প্রতারকচক্র প্রতারিত ব্যক্তির ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য তার গোপন ছবি/ভিডিও ইমোর স্টোরিতে ছেড়ে দিয়ে তার সম্ভ্রমহানি করে। বলা হয়, টাকা না দিলে আরো তথ্য ফাঁস করে দেবে। অথচ এটা ইসলামের দৃষ্টিতে জঘন্য অপরাধ। কিয়ামতের দিন এই পাপের শাস্তি ভয়াবহ হবে। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোনো বিষয়ে জুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ থেকে মাফ করিয়ে নেয় সেই দিন আসার আগে, যেদিন তার কোনো দিনার বা দিরহাম থাকবে না। সেদিন তার কোনো সৎকর্ম না থাকলে তার জুলুমের পরিমাণ তার কাছ থেকে নেওয়া হবে আর তার কোনো সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ থেকে নিয়ে তা তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। (বুখারি, হাদিস : ২৪৪৯)

৫. অর্থ-সম্পদ হাতিয়ে নেওয়া : মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ওপর অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ হাতিয়ে নেওয়া হারাম করেছেন। আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করবে না, তবে পরস্পরের সম্মতিতে ব্যবসা করা বৈধ, তোমরা একে অন্যকে হত্যা কোরো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু। আর কেউ সীমা লঙ্ঘন করে অন্যায়ভাবে এমন কাজ করলে তাকে অগ্নিদগ্ধ করব, তা আল্লাহর পক্ষে সহজ। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৩০)

মহান আল্লাহ সবাইকে এসব পাপ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। এসব প্রতারণার ফাঁদে পা দেওয়া থেকে বিরত রাখুন। কারণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে গুনাহের প্রতি আকর্ষণ তথা বেগানা নারীর সঙ্গে কথা বলার নেশা থেকে মানুষ এ ধরনের প্রতারণায় পড়ে যায়। তাই এ ধরনের বাসনা মনে এলে আল্লাহকে ভয় করতে হবে। অপরিচিত কারো সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।

কারো হাতে নিজের ফোন আনলক অবস্থায় ছেড়ে না দেওয়াই ভালো। এমনকি কোনো মেকানিকের কাছে মোবাইল ফোন ঠিক করানোর প্রয়োজন হলে দাঁড়িয়ে থেকেই তা সারিয়ে আনা উচিত। কেউ ফোন করে কোনো মেসেজ/কোড জানতে চাইলে তা কোনো অবস্থাতেই দেওয়া যাবে না। অনলাইনে একান্ত প্রিয় মানুষের সঙ্গে কল অথবা মেসেজে এমন কোনো ফাইল শেয়ার করা উচিত নয়, যা অন্যের হাতে গেলে বিব্রত হতে হবে। কারণ এগুলো যেকোনো মুহূর্তে হাতছাড়া হতে পারে।

আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন। সতর্ক থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

অন্যের সম্পদ আত্মসাৎকারী এক ব্যক্তির ভয়াবহ পরিণতি

তু’মা ইবনে উবাইরিক। মদিনার বনি যাফর গোত্রের মুসলিম পরিচয় প্রদানকারী এক মুনাফিক। সে ছিল অত্যন্ত কুটিল স্বভাবের। মুনাফিক হওয়ার পাশাপাশি চুরি করা, সত্য গোপন করা, অপবাদ দেয়া, খেয়ানত করা, মিথ্যা শপথ করা, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া ইত্যাদি দোষে ছিল সে দুষ্ট।

তার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারিমে সূরায়ে নিসার ১০৫ থেকে ১১৫ নম্বর পর্যন্ত ১১টি আয়াত নাজিল করেছেন। আয়াতগুলোতে তার মাঝে বিদ্যমান স্বাভাবগুলোর নিন্দা করা হয়েছে। এগুলোর মন্দ পরিণতির ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। তাকে উপলক্ষ্য করে সমগ্র মানবতাকে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরণ
‘কাতাদাহ ইবনে নোমান রা: নামক এক সাহাবী ছিলেন। তিনি বর্মসহ কিছু সরঞ্জমাদি আটার বস্তায় ভরে একটি কামরায় সংরক্ষণ করেছিলেন। তু’মা ইবনে উবাইরিক ছিল সেই সাহাবীর প্রতিবেশী। সে বস্তাসহ বর্মটি চুরি করে নিয়ে যায়েদ ইবনে সামীন নামক এক ইহুদির কাছে লুকিয়ে রাখে।

দুর্ভাগ্যক্রমে বস্তার একপাশ ছিল ছিদ্র। সেই ছিদ্রপথে আটা ছড়িয়ে পড়ে ইহুদির বাড়ি পর্যন্ত। এদিকে কাতাদাহ রা: বস্তা যথাস্থানে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। তু’মা ইবনে উবাইরিককে জিজ্ঞাসা করলে সে সাফ অস্বীকার করে। কসম খেয়ে বলে, ‘আমি নেইনি এবং এ ব্যাপারে আমি কিচ্ছু জানি না। তখন তাকে ছেড়ে দিয়ে আটার চিহ্ন অনুসরণ করে যেতে থাকেন। যেতে যেতে ইহুদির বাড়িতে গিয়ে সেখানে বর্মটি দেখতে পান। তিনি বর্মটি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

ইহুদি লোকটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে বলে, আমি চুরি করিনি। তু’মা আমার কাছে বর্মটি রেখে গেছে। বেশ কয়েকজন লোক ইহুদির কথা সত্যায়ন করে সাক্ষ্য দিল। এদিকে তু’মা এ ঘটনা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করল।

ঘটনার সত্যতা আঁচ করতে পেরে যাফর গোত্রের লোকেরা চতুরতার আশ্রয় নিল। তারা জোট বেধে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে গিয়ে আবেদন করল, হে আল্লাহর রাসূল, এ ঘটনার সাথে তু’মার কোনো সম্পর্ক নেই। বর্ম পাওয়া গেছে ইহুদির বাড়িতে, চুরিও করেছে সেই। অতএব আপনি তু’মার পক্ষ হয়ে উকালতি করুন এবং ইহুদিকে দোষী ঘোষণা করুন। অন্যথায় আমাদের গোত্রের কান কাটা যাবে।

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহ্যিক প্রমাণাদি দেখে ইহুদিকে দোষী মনে করলেন এবং ইহুদির ওপর চুরির শাস্তি প্রয়োগ করার মনস্থির করলেন। এরই মাঝে আল্লাহ তয়ালা ইহুদির বক্তব্যের সত্যতা এবং চুরির সাথে তু’মার সম্পৃক্ততার কথা বিবৃত করে কুরআনে পূর্ণ দু’টি রুকু নাযিল করেন।’

বলা হয়ে থাকে, যে ব্যক্তি অন্যকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করে, হাজারো বিপদ তার পেছনে ধাওয়া করে। যে মানুষ নিবিষ্ট মনে অন্যের ক্ষতির চিন্তায় মগ্ন থাকে নিজের ক্ষতি না হওয়া পর্যন্ত তাকে থামানো দায়।

মুফাসসিরীনে কেরাম বলেন, চুরির ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর তু’মা মদিনা থেকে পালিয়ে যায়। মক্কায় গিয়ে কাফেরদের সাথে মিশে যায় এবং প্রকাশ্যে কুফুরির ঘোষণা করে। কিন্তু পালিয়ে গিয়েও পাপের পরিণতি থেকে বাঁচতে পারেনি। মক্কায় যে নারীর ঘরে আশ্রয় নিয়েছিল, ওই নারী তার কুকীর্তির কথা জানতে পেরে তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়।

এভাবে আশ্রয়হীন অবস্থায় ঘুরতে ঘুরতে একদিন এক ঘরে সিঁধ কেটে চুরি করতে গিয়ে তার ওপর দেয়াল ধসে পড়ে। দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে তার করুণ মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় তু’মা ইবনে উবাইরিক এবং তার সম্প্রদায়ের জঘন্য কয়েকটি অপরাধ এবং মন্দ স্বভাবের চিত্র ফুটে উঠেছে।

১। চুরি করা, বিশ্বাসঘাতকতা করা, অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করা।
২। নিজের কৃত অপরাধের দায় অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া।
৩। অন্যায়কারীর পক্ষাবলম্বন করা। তার পক্ষে উকালতি করা। তাকে বাঁচানোর জন্য কূটকৌশলের আশ্রয় নেয়া।
৪। মিথ্যা কসম খাওয়া। কারো পক্ষে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া।
৫। সত্য গোপন করা। সজ্ঞানে মিথ্যাকে সত্যের মোড়কে উপস্থাপন করা।

এসকল অপরাধে লিপ্ত হওয়ার ভয়াবহতা
উপরোল্লিখিত প্রতিটি কাজই কবিরা গোনাহ। যেগুলো দুনিয়া এবং আখেরাতে কঠিন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়াও এ ব্যাপারে যে সকল হুঁশিয়ারি উচ্চারণ হয়েছে সেগুলো হলো-
১। বিশ্বাসঘাতকদের আল্লাহ পছন্দ করেন না।
২। পক্ষাবলম্বনকারীদের বলা হয়েছে, দুনিয়াতে তো তোমরা তাকে সমর্থন করলে; কিন্তু ব্যাপার এখানেই শেষ নয়। কেয়ামতে যখন আল্লাহর আদালতে এ মুকাদ্দমার শুনানি হবে তখন কে তাকে সমর্থন করবে? কে তাকে রক্ষা করবে?
৩। এমন ঘৃণ্য অপরাধের পর যদি যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাওবা না করে তাহলে আল্লাহ, রাসূল বা মুমিনদের তেমন ক্ষতি হবে না; বরং এ পাপের বোঝা তাদেরকেই বহন করতে হবে।
৪। যে নিজে কোনো অপরাধ করে অন্য নিরপরাধ ব্যক্তির ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়, যেমনিভাবে তু’মা চুরি করে ইহুদির ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছিল- সে জঘন্য অপবাদ এবং প্রকাশ্য গোনাহর বোঝা বহন করল।

সকল মুমিনের প্রতি সাধারণ নির্দেশনা
আল্লাহ তায়ালা বনী যাফরের ঘৃণ্য এসকল কর্মকাণ্ড উল্লেখ করার পর এমন প্রেক্ষাপটে সাধারণ মুমিনদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু করণীয় নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
১। সাম্প্রদায়িকতা, স্বজনপ্রীতি, লোভ কিংবা ভয়ে প্রভাবিত না হয়ে শরীয়ত মোতাবেক ন্যায়সঙ্গত ফায়সালা করা।
২। অপরাধীর পক্ষাবলম্বন পরিহার করা। তার সঙ্গ এবং তার ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করা।
৩। যে কোনো মন্দ আচরণ প্রকাশিত হওয়ার ক্ষেত্রে লোকলজ্জার ভয়ের চেয়ে আল্লাহকে বেশি লজ্জা করা। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা, অন্তর্জামী। প্রকাশ্য গোপন সবকিছুই তিনি জানেন, দেখেন। তাঁর কাছে কোনোকিছুই গোপন নেই। তাই সকল প্রকার মন্দ ও অন্যায় কাজ থেকে সর্বদাই বিরত থাকা।
৪। মন্দ কাজের জন্য কিংবা কারো ক্ষতির সাধনের উদ্দেশ্যে কানাকানি, সলা-পরামর্শ না করা।
৫। দুজন ব্যক্তির মাঝে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে তা মীমাংসার চেষ্টা করা।
৬। নিরপরাধ কোনো ব্যক্তির ওপর অপবাদ দেয়া থেকে বিরত থাকা।
৭। যে কোনো ধরনের গোনাহ হয়ে গেলে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাওবা করা।

আল্লাহ তায়ালা সবাইকে এসকল মন্দ স্বভাব থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক দান করুন।

তথ্যসূত্র : আল কুরআন, তাফসিরে জালালাইন, মাআরেফুল কুরআন, সফওয়াতুত তাফাসির

Chat On WhatsApp

Please Contact with us for more details.
Our Services

Phone : +8801566058831
WhatsApp :�wa.me/8801933307999
Skype : azadarch
Our Website : www.azadservice.com
Telegram for more information : https://t.me/Azadservice
Email US : [email protected]
Youtube :� https://www.youtube.com/@DropshippingService?sub_confirmation=1
Virtual Assistant : www.azadservice.com/category/virtual-assistant/
Facebook Groups : https://www.facebook.com/groups/854505676275341/
Facebook Page : https://www.facebook.com/independentservice.today
Linkdin :� https://www.linkedin.com/in/azadservice/
Instagram : https://www.instagram.com/azadservicebd/

Pinterest : https://www.pinterest.com/azadservice/

Twitter.: https://twitter.com/azadservicebd

Tiktok : https://www.tiktok.com/@azadservices

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours